ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ীতে আ’লীগ পরিবারের উপর আবারো হামলা, চলছে অস্ত্রের মহড়া

ছালাম কাকলী (মাতারবাড়ী) মহেশখালী :
কক্সবাজার জেলার টুঙ্গি পাড়া নামে খ্যাত মাতারবাড়ি ইউনিয়নে চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া। এ সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন নেতার ইশারায়। বিএনপি সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে নারী-পুরুষকে মারধর করে তোরণ, স্টেইজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সহ জনপ্রিয় নেতা মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমর্থকদের মারধর করার পর তার অফিসের আসবাবপত্র গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার অভাবে চেয়ারম্যান এলাকার বাইরে রয়েছে। পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করায় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এভাবে এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে আওয়ামীলীগ কর্মীদের মারধর করলেও পুলিশ মামলা না নেয়ায় বিএনপি সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হওয়ার কারণে এলাকার আইন শৃঙ্খলা দিন দিন অবনতি ঘটছে। এমনকি গত ৩১ অক্টোবর হামলাকারীরা একই কায়দায় আবারো চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহর চাচাত ভাই আব্দু রসিদ কে ২ নভেম্বর মগডেইল বাজারে ব্যাপক মারধর করেছে। এ সংবাদ পেয়ে মাতারবাড়ি পুলিশ া৩য় পৃষ্ঠার ১ কলামে দেখুনা
চলছে অস্ত্রের মহড়া ক্যাম্পের আইসি আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছেন। হামলাকারী যুবদল ক্যাডার ফজল প্রকাশ্যে তার দলবল নিয়ে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিলেও পুলিশ তাকে আটক করতে নিরব ভূমিকা পালন করায় আওয়ামীলীগ কর্মীদের মাঝে চলছে অজানা আতংক। এলাকার আইন শূঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে র‌্যাব এর টহল জোরদার করার দাবী জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান কে হয়রানি করার কারণঃ গেল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক চেয়াম্যান এনামুল হক রুহুল, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নাছির উদ্দিন বাবর চৌধুরী ও আনারস প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির নেতা ধানের শীষের প্রার্থী নাছির উদ্দিন বাবর চৌধুরী। ৩য় স্থানে ছিলেন আওয়ামীলীগের নৌকার  প্রার্থী এনামুল হক রুহুল। এতাদঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ নির্বাচনের পর থেকে এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন সহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদেরকে পর্যায়ক্রমে সরকারী ও বেসরকারী সহযোগীতা নিয়ে পুনঃবাসন করে আসছেন। এতে এলকার আইন শৃঙ্খলা সহ রাস্তাঘাটের আমূল পরিবর্তন হওয়ায় মাতারবাড়ির সাধারণ লোকজন একের পর এক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ মূখী হয়ে পড়ে। এ ছাড়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের মিটিং, মিছিল সহ বিভিন্ন সমাবেশে আর্থিক সহ আয়োজকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করায় বর্তমানে পুরো মাতারবাড়ী আওয়ামীলীগের ঘাটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বকে ধবংস করার জন্য জনশূণ্য কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা বিএনপি নেতা ও কর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। এ প্রসঙ্গে  মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রবীণ মুরুব্বী আলহাজ¦ বশির মেম্বার জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ হচ্ছে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের নেতা। এরশাদ সরকার ও বিএনপি সরকারের আমলে মাতারবাড়িতে একমাত্র মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহর নেতৃেত্ব আওয়ামীলীগ কর্মীরা নৌকার হাল ধরে ছিল মাতারবাড়িতে। এ নেতাকে আওয়ামীলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য জনশূণ্য গুঁটি কয়েক নেতা চেষ্ঠা করে কোন লাভ হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয় করতে হলে এ নেতাকে সাথে নিয়ে সাধারণ লোকজনের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে আওয়ামীলীগ নেতাদের। অন্যথায় জন বিচ্ছিন্ন নেতাদের নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতারা মাঠে ময়দানে গেলে নৌকার প্রার্থীর জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। অপরদিকে বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুচ ছাত্তার বলেন, জন বিচ্ছিন্ন কয়েকজন নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহর নেতৃত্ব সইতে না পেরে বিএনপি কর্মীদের দিয়ে হয়রানী করছে। এতে আওয়ামীলীগের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। অন্যদিকে ঠিকাদার যুবলীগ নেতা শানিক ও টিপু বলেন, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে এলাকার বহু জনকে চাকুরী দিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে এলাকা ছাড়া করার পর এলাকার একটি সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময়ে বহিরাগতদের চাকুরী দিচ্ছে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে। এছাড়া বহু জনকে চাকুরীচ্যুত করেছে ইতিমধ্যে। আজ চেয়ারম্যান থাকলে এ অবস্থা হত না। ইউপি চেয়ারম্যান না থাকায় মাতারবাড়ীবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কায়ুম ও মজিদিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহারিয়া জানান, মাতারবাড়ীর চেয়ারম্যান এলাকায় না থাকায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহুর্তে এলাকায় ভয়াবহ রক্তপাত হবে। তারা আরো জানান চেয়ারম্যান এলাকায় থাকলে এত আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটার সম্ভাবনা ছিল না।
জিয়াবুল হত্যার কারণ ঃ গত এক যুগ ধরে বিএনপি নেতা বাংলা বাজার এলাকার শামশুল গংদের সাথে নিহত জিয়াবুলের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এমনকি জিয়াবুল হত্যাকারীরা ইতিপূর্বে জিয়াবুলের চাচাত ভাই জাহাঙ্গীরকে দিন দুপুরে কুঁপিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। এ ঘটনা সহ বিএনপি নেতা শামশুল আলম গংদের বিরুদ্ধে পক্ষে-বিপক্ষে ডজন খানিক মামলা রয়েছে থানায় ও আদালতে। জিয়াবুলের পক্ষে গিয়ে এলাকার সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা শামশুল আলম গংকে এলাকা ছাড়া করার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ তৎকালীন মেম্বারের দায়িত্ব পালন করা কালীন বহু সহযোগিতা করেছিল জিয়াবুল ও ছরওয়ারর মেম্বারকে। কিন্তু আইনের ফাঁক-ফোকর থেকে জামিনে এসে বিএনপি নেতা শামশুল আলম গংরা এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে থাকে। ফলে সন্ত্রাসীরা পার পাওয়ার জন্য জন বিচ্ছিন্ন কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার হাত ধরে তাদের দলকে আরো চাঙ্গা করে তুলেন। সর্বশেষ গত ৩ বছর ধরে জিয়াবুল ও ছরওয়ার মেম্বারের কাছ থেকে ৩০ কানি জমিনের লাগিয়তের টাকা পাবে বলে দাবী করে আসছে মইন্যার ঘোনার মালিক হিসেবে বিএনপির নেতা শামসুল আলম গংরা । এমনকি বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী শামসুল আলম প্রতিকার চাওয়ার জন্য তার স্বপক্ষের কাগজপত্র নিয়ে গত কয়েকমাস পূর্বে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের কাছে গেলে বিচারটি মিমাংসা করে দেয়ার জন্য জেলা পরিষদের সদস্য মাষ্টার রুহুল আমিনের কাছে হস্তান্তর করেন। এ বিচার করতে কাল-বিলম্ব করায় শামশুল আলমের লোকজন গত ১৫ আগষ্ট জিয়াবুলকে প্রকাশ্যে কুঁপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রহস্যজনক কারণে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। এই মামলায় ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জেলা কারাগার থেকে জমিনে মুক্ত পান। জামিনের পর গত ৩১ অক্টোবর তিনি মাতারবাড়ীতে আসার সংবাদে তাকে বরণ করতে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ লোকজন রাজঘাট ব্রিজ থেকে মগডেইল বাজার পর্যন্ত ১০ টি তোরণ, ১টি স্টেইজ নির্মাণ করে। তিনি মাতারবাড়িতে আসার পূর্বে নিহত জিয়াবুলের ছোট ভাই সরওয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে ৫-৬ জন সন্ত্রাসী মগডেইল বাজারে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এ সময় উপস্থিত লোকজন পালাতে গিয়ে ১০-১২ জন নারী-পুরুষ আহত হয়। এক নারীর অবস্থা আশংকাজনক। লোকজন পালিয়ে যাওয়ার পর ৩টি তোরণ, স্টেইজ ও চেয়ারম্যানের  ব্যক্তিগত অফিস তচনছ করে দেয় সন্ত্রাসীরা। ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও। এ সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার তদন্ত ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পদির্শন কালে এলাকাবাসীরা তদন্ত ওসিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরকারীদের গ্রেপ্তার সহ তাদের কাছে থাকা অস্ত্র উদ্ধার করার দাবী জানান। এ ছাড়া চেয়ারম্যানকে এলাকায় ফিরিয়ে আনার দাবী জানালে উল্টো উপস্থিত লোকজনকে ধমক দিয়ে তদন্ত ওসি বলেন চেয়ারম্যানকে জনগণ চাইলে হবেনা। আপনাদের এমপিতো চেয়ারম্যানকে চায় না। সচেতন মহলের প্রশ্ন সন্ত্রাসীরা একের পর এক ঘটনা করলেও কি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না? এটা মাতারবাড়ী বাসীর প্রশ্ন।
চেয়ারম্যানকে আসামী করার কারণঃ হংস মিয়াজী পাড়ার ইয়াবা ব্যবসায়ী দানুকে ১ জুন মালেক চৌকিদারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে এনে উত্তম-মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। ঐদিন সন্ধ্যায় সরওয়ার মেম্বারের নির্দেশে দানু তার লোকজন নিয়ে মালেক চৌকিদারের ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটতরাজ চালায়। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এ ব্যপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মালেক চৌকিদার বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তা তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ রহস্যজনক কারণে এজাহার হিসাবে গণ্য করেনি। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে চেয়ারম্যান এবং চৌকিদারকে মোবাইলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এতে এক পর্যায়ে সরওয়ারের সাথে চেয়ারম্যানের বাকবিতন্ডা ঘটে। এ কারণে সরওয়ার মেম্বার অভিমান করে পরিষদ বর্জন করে। এ অবস্থায় মইন্ন্যার ঘোনার ঘটনার জের ধরে সরওয়ার মেম্বারের বড় ভাই জিয়াবুলকে প্রতিপক্ষ শমশুল  আলম গংরা প্রকাশ্যে কুঁপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় একজন জেলা পরিষদের সদস্য, সাবেক এক চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার এক শিক্ষকের ইশারায় চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে আসামী করায় আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে সচেতন মহলের দাবী। চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ্র সাথে নিহত জিয়াবুলের পরিবারের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন থাকলে ও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় চেয়ারম্যানের চির শত্রু বিএনপি নেতা শামশুল আলম গংদের সাথে কেন চেয়ারম্যানকে আসামী করা হলো এটা মাতারবাড়ী বাসীর প্রশ্ন।

################################

মাতারবাড়ীতে নিহত ২ শ্রমিকের লাশের মুল্য ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা?

ছালাম কাকলী: মাতারবাড়ীতে নলকুপ বসাতে গিয়ে বিদ্যুৎতের তারে জড়িয়ে ২ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্তকে কোন অবস্থাতে মেনে নিতে পারছেনা নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তৎমধ্যে বাড়ীওয়ালা প্রবাসী বশিরকে মাত্র দিতে হচ্ছে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা। বাকী ১ লাখ টাকার গাইনি টানতে হচ্ছে শ্রমিকদলের নেতা ইছুফ হারুনের। এতে ও বাড়ীওয়ালা বিচারকদের সামনে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্থলে নগদ দিয়েছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। বাকী টাকা আগামী বৃস্পতিবার ৭ নভেম্বর প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ রহস্যজনক বিচারে নিয়ে এলাকায় চলছে নানান গুনজন।

মহেশাখালী উপজেলার মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাটের বাসিন্দা প্রবাসী বশিরের বাড়ীতে গত ১৬ দিন পূর্বে গভীর নলকুপ বসাতে যায় কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইছুপ হারুন মেস্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি শ্রমিক দল। ঐ নলকুপ বসার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎতের তারে জড়িয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। মৃত শ্রমিকরা হচ্ছে কালারমারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের পুত্র কাইছার ও আবুল কাশেমের পুত্র মোস্তাক। ঘটনার পর পরই ২ ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যদের সমম্বয়ে ঘটনাটি মিমাংসার জন্য অর্থ্যাৎ মামলায় না গড়াতে নিহত ২ শ্রমিকের পরিবার এবং বাড়ীওয়ালা বশির থেকে পৃথক পৃথক কাগজ নেন। এ কাগজের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ নভেম্বর কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে ২ ইউনিয়নের মেম্বারদের সমন্বয়ে একটি বিচারের বৈঠক বসে। এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার শেষে বাড়ীওয়ালা মাতারবাড়ীর বাসিন্দা বশির থেকে নিহত ২ শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়ার সিন্ধান্ত দেন। এছাড়া ঐ ২ শ্রমিকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেয়ার জন্য শ্রমিক নেতা ইছুপ হারুনকে নির্দেশ দেন। এ সিন্ধান্তের পর বাড়ীওয়ালা বিচারকদের সামনে নগদ প্রদান করেন ৫০ হাজার টাকা। বাকী টাকা আগামী ৭ নভেম্বর পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বৈঠকে নিহত দু’পারিবারের সদস্যদের মতামত না নিয়ে এ বিচারকার্য্য শেষ করায় এলাকায় এ বিচার নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এছাড়া নিহত কাইছারের মামা নুরুল আলম জানান, আমার ভাগিনা হল উক্ত পরিবারের এক মাত্র আয়ের উৎস। তার পিতা এখন মৃত্যুর শয্যাশায়ী। অপর নিহত মোস্তাকের পিতা ও বেচে নেই। বিচারের রায়ের সংবাদ শুনে এ দু’পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে আহাজারী। ######

পাঠকের মতামত: